বৈশি^ক কারণে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা ও দাকোপ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে এসব উপকূলের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। অভিযোজনে নেওয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসে না। এ অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের মানুষের জন্য উন্নত দেশের কাছ থেকে সঠিকভাবে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এর টাকা সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। এজন্য জাতীয় কৌশল প্রণয়ণ খুবই জরুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার একটি অভিভাত হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাডামস্ ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে। ‘মাল্টি অ্যাক্টর পার্টনারশিপ অন ক্লাইমেড চেঞ্জ রিলেটেড লস এ্যান্ড ড্যামেজ, সাপোটিং দা স্টাবলিস্টমেন্ট অফ এ লস এ্যান্ড ড্যামেজ ম্যাকানিজম ইন বাংলাদেশ’ (ম্যাপ-এলএন্ডডি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুসাইন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) বিতান কুমার মন্ডল।
কর্মশালায় কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মুজিবর রহমান এবং কুয়েটের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইষ্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনজুম তাসনুভা। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাডামসের নির্বাহী পরিচালক এস, এম, আলী আসলাম। সঞ্চালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক মিজানুর রহমান রাজা।
খুলনা গেজেট/এইচ